শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন




ডোমারে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

ডোমারে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডোমারে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া,শ্রমজীবী,মধ্যবিত্ত ও নি¤œ আয়ের মানুষ।বৃষ্টির পানিতে কাজ করতে না পারায় তাদের সংসারে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের অভাব অনটন।
রিক্সা,ভ্যান ও অটো বাইক চালকরা বৃষ্টিতে ভিজে জীবিকার তাগিদে তারা বাড়ী থেকে বেড় হলেও হাট বাজারে তেমন লোকজন না থাকায় সারা দিনের পর তাদেরকে শুন্য হাতে বাড়ী ফিরতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৪সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ফসলি জমিসহ খাল বিল কানায় কানায় ভরে গেছে। পানির ¯্রােত রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেককেই রাস্তার উপর জাল পেতে মাছ ধরতে দেখা গেছে। শীতকে সামনে রেখে আগাম সবজি আবাদ করতে গিয়ে বৃষ্টির পানিতে সবজি ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় ক্ষতির হিসাব গুনতে হচ্ছে সবজি চাষিদের।
উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের সবজি চাষী ফজলুল হক বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে লালশাক, পুইশাক ও লাউশাক লাগিয়েছি বৃষ্টির পানিতে সবজিক্ষেত ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। একই ইউনিয়নের মরিচ চাষি জিকরুল বলেন, আমি প্রায় তিন বিঘা জমিতে মরিচের পুলি লাগিয়েছি অতি বৃষ্টির কারনে মরিচের পুলি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মরিচের পুলি নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চান্দিনা পাড়া গ্রামের অটোবাইক চালক আনারুল জানান, গত কাল সকালে বৃষ্টিতে অটো নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করি, যাত্রী না পাওয়ায় সারা দিনের পর আমাকে শুন্য হাতে বাড়ী ফিরে আসতে হয়।আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছি।
কাঁচা বাজার করতে আসা সফিয়ার বলেন,টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে সবজির বাজার উর্দ্ধগতি হওয়ায় তা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তাই ইচ্ছা থাকলেও সবজি কিনতে পারছিনা।
জোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসান জানান,আমার ইউনিয়নে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এলাকায় বন্যার রুপ ধারন করেছে। বেশ কিছু রাস্তা ভেঙ্গে গেছে, বেশী ক্ষতি হয়েছে হলহলিয়া ও মিরজাগঞ্জ এলাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান বলেন, গত বুধবার আমি বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি,তাঁতে দেখা গেছে গত বারের তুলনায় এবার আমনের অবস্থা খুবেই ভালো অবস্থানে রয়েছে। সরকারী ভাবে কৃষকদের যে প্রনোদনা এসেছে সেটা আমরা কৃষকদের মাঝে বিলি বন্টন করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম জানান,টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এলাকায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমন কোন খবর আমি পাইনি।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com