রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক :
রং নম্বর থেকে মোবাইলে প্রথম পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণী ও সেলিম রেজার। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত শনিবার রাতে বিয়ের কথা বলে প্রেমিকা ও তার মাকে ডেকে নিয়ে আসেন প্রেমিক সেলিম। পরে ভ্যানচালকের মাধ্যমে প্রেমিকা ও তার মাকে একটি পাটখেতে নিয়ে যান সেলিম। সেখানে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের পর ফেলে রেখে যান সেলিম ও তার বন্ধু হাসান।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। এ ঘটনায় মামলা হলে প্রেমিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকমল চন্দ্র দেবনাথ। এর আগে রোববার অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- প্রেমিক শিবগঞ্জ পৌর পিঠালিতলা মহল্লার বাসিন্দা সেলিম রেজা ও তার বন্ধু একই গ্রামের বাসিন্দা মো. হাসান এবং ভ্যানচালক পিঠালিতলা মহল্লার মো. মেহেরুল।
পরিদর্শক (তদন্ত) সুকমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, রং নম্বর থেকে মোবাইলে প্রথম পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণী ও সেলিম রেজার। পরে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। একপর্যায়ে গত শনিবার রাতে মেয়েকে দেখা ও বিয়ের কথা বলে মা-মেয়েকে শিবগঞ্জে ডেকে নিয়ে আসেন তিনি। পরে ভ্যানচালকের মাধ্যমে মা ও মেয়েকে ওই মাঠের পাশের পাটখেতে নিয়ে যান সেলিম। সেখানে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের পর ফেলে রেখে যান সেলিম ও হাসান।
তিনি আরো জানান, স্ত্রী ও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে একই দিন রাতেই শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান ওই তরুণীর বাবা। এরপর রাতেই উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী মেয়ের ও মায়ের মোবাইল ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। রোববার ভোরে ওই মাঠ থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। পরে একই দিন ভোরেই অভিযান চালিয়ে সেলিম, হাসান ও মেহেরুলকে করা আটক হয়েছে। রোববার সকালে মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ আসামিদের আদালতে পাঠায়।