শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
ফয়জার রহমান রনু, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
ঘন-কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি। ফলে চরম দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন। কনকনে ঠান্ডায় থমকে যাচ্ছে জীবন ও জীবিকা। গরম কাপরের অভাবে গরীব মানুষজন পরেছে চরম দুর্ভোগে। এতো ঠান্ডায় জীবন বাঁচা দায় হয়ে পড়েছে , ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষজনের।
আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারী) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ঘন-কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রেহাই পাচ্ছে না গবাদি পশু পাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। আবার অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। আবার অনেকে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন ।
দিন দিন তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষজন। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী ঠুটাপাইকড় এলাকার বাসিন্দা আবদুল মজিদ জানান ‘কয়দিন থাকি অইদ নাই আইজ সকালে অলপে একনা উঠলেও জারের জন্যে বাইর হওয়া যায় না’ কর্পূরা এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, গরমের কাপর নাই তবুও বের হয়েছি পেটের দায়ে কত কষ্টে আছি বলার ভাষা নেই’ ।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগ। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু।
কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট বেডের বিপরীতে প্রচুর সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্হিবিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।১০০ শয্যা বিশিষ্ট উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন বলেন, ‘হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। তারপরও সাধ্যমত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম কৃষি পর্যবেক্ষণ আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, সোমবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।