বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে নৈশকোচ ডাকাতির ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জায়েদা পরিবহন নামক ১টি যাত্রীবাহী নৈশকোচ ঢাকার গাবতলী পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত আরো ৪৭ জন যাত্রী বাসে ওঠে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ অতিক্রম করার পর যাত্রীবেশে ওঠা অজ্ঞাতনামা ০৬ জন ডাকাত কোচ চালক সুমন মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা নগদ ৭৯,৭০০/- টাকা, ১২ টি মোবাইল, ০২ টি হ্যান্ড ব্যাগ ও পাঁচ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতীকালে যাত্রী মোঃ সুমন মিয়াকেও ছুরিকাঘাতে আহত করে। ডাকাতীর ঘটনায় জাহেদা পরিবহনের ম্যানেজার আপেল মাহমুদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের আসামী করে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪। এ ঘটনায় ওই মহাসড়কে চলাচলকারীদের ব্যাপক ভীতি সৃষ্টি করায় পীরগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রæততার সাথে ডাকাতির রহস্য উদঘাটনে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অত্র উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কাটাদুয়ার সংলগ্ন হলদিবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির সাথে জড়িত নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার বিলকৃস্নপুর গ্রামের মৃত জমিন সরদারের ছেলে রেজাউল করিম (৩২), মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বেরাডাঙ্গা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলী (৪৫) ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বড়শিমুলতলা গ্রামের মৃত. হবু সরকারের ছেলে জহরুল সরকার (৩৫) গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০৫ টি চাকু, লুন্ঠিত নগদ ১৯৫০ টাকা এবং ০৪ টি মোবাইল উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তারা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ০৬ জন গাজীপুর জেলার চন্দ্রা থেকে যাত্রীবেশে ওঠে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ অতিক্রম করার পর নির্জন এলাকায় সুযোগ বুঝে ডাকাতি শুরু করে। এ সময় যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মহিলা যাত্রীর কানের স্বর্ণের দুল ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বাসটি পীরগঞ্জ থানাধীন বিটিসি মোড় সংলগ্ন শোলাগাড়ী আসলে বাস থেকে নেমে যায়। এ ব্যাপারে রংপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেলÑ কামরুজ্জামান জানান- গ্রেফতারকৃত ০৩ জন ডাকাত বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়ায় তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।