রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি :
১৩ বছর ধরে স্বামী প্রবাসে। এই সুযোগে ছেলের বন্ধুর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়ান ৪০ বছর বযসী এক নারী। দীর্ঘ তিন বছরের পরকীয়ার পর অবশেষে দুজনকে হাতে নাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। শেষ পরিনতিতে ধর্ষন মামলায় প্রেমিককে জেল হাজতে এবং ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃস্পতিবার এ বিষয়ে পীরগাছা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে।
থানা সুত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের দামুশ^র গ্রামের মিতালী আক্তারের (ছদ্মনাম) স্বামী দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে মালেশিয়ায় কর্মরত ছিল। স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় মিতালী (ছদ্মনাম) একই গ্রামে তার বাবার বাড়িতে থাকতো। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ২৩ বছর। বরিশালে লেখাপড়া করে। আর ছোট ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। এদিকে প্রবাসী স্বামী ৫ মাস আগে দেশে ফিরে আসলেও মিতালীর কাছে তেমন থাকতো না। বর্তমানে স্বামী ঢাকায় অবস্থান করছে। মিতালীর বড় ছেলের বাল্যবন্ধু একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলামের (২৩) বন্ধুত্ব বেশ গাঢ়। নিয়মিত মিতালীর বাবার বাড়িতে যাতায়াত ছিল নাজমুলের। এক পর্যায়ে ছেলের বন্ধু নাজমুলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মিতালী আক্তার। বেশ কয়েক বার শারিরিক সর্ম্পকও হয় তাদের। প্রবাসী স্বামী দেশে ফিরে আসলেও চলতে থাকে দুজনের পরকীয়া। গত ৬ নভেম্বর রাতে দুজনের মধ্যে দৈহিক মেলামেশা হবার পর গত মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে আবারো নাজমুল ইসলাম মিতালীর ঘরে প্রবেশ করে। বিষয়টি জানতে পেরে দুজনকে আটক করে এলাকাবাসী। এসময় নাজমুলকে মারধর করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ক্রমেই বিষয়টি জটিল আকার ধারন করলে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। রাতে পুলিশ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার মিতালী আক্তার বাদি হয়ে নাজমুলের নামে ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, ছেলেকে গ্রেফতার দেখিয়ে রংপুর জেল হাজতে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেলে ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।