বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক :
প্রভাবশালী কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাই তাদের টার্গেট। তবে মূল টার্গেট ধনাঢ্যরা। প্রথমে প্রেমের অভিনয়; পরে দেখা করা। আর দেখা করতে এলেই ধনাঢ্যদের ফাঁদে ফেলতেন তারা। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করে হাতিয়ে নিতেন টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম করলেও অবশেষে ধরা পড়েছেন এ চক্রের দুই নারী।
শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে দুই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী মাইজদী শহরে সমাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিতদের কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হচ্ছিল একটি চক্র। আবার অনেক সময় নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোর করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বা পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠাবে হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতেন চক্রের সদস্যরা।
পুলিশ আরো জানায়, এমন প্রতারণা শিকার হয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী। বিষয়টি সুধারাম মডেল থানাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন তিনি। সুধারাম মডেল থানা অনুসন্ধান করে সত্যতা পেলে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা নেয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে চক্রের দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, পাঁচ-ছয় বছর ধরে তারা কয়েকজন মিলে এ কাজ করছিলেন। ধনাঢ্য কিংবা প্রতিষ্ঠিতদের সঙ্গে প্রথমে সম্পর্ক স্থাপন করতেন। দেখা করতে এলে মোবাইল ফোন বা বিশেষ ক্যামেরায় অন্তরঙ্গ হওয়ার মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে নেন। এরপর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।