শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামানের সন্তান রাহাত মাহমুদ মৃন্ময়কে গলা চেপে ধরে মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান। উক্ত মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডোমার পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ড ছোটরাউতা ডাঙ্গাপাড়া পুবটারী গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের পুত্র মোফাজ্জল হোসেন মোফা (৪৫) এবং একই এলাকার চানু সরকারের পুত্র সৌরভ (২০)
গতকাল ২০ জুন বিকেল আনুমানিক সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় উপজেলা আবাসিক কোয়ার্টারের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোটরাউতা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মোফাজ্জল হোসেন মোফার ছেলে সিয়াম (১৩) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামানের ছেলে রাহাদ মাহমুদ মৃন্ময় (১১) কে মারপিটসহ মেরে ফেলার উদ্দেশ্য গলা চেপে ধরে, উক্ত ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে মোফাজ্জল হোসেন মোফাসহ অঞ্জাতনামা আসামীগন বে-আইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে আমার অফিসে এসে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া সরকারি কাজে বাধা প্রদান,আমাকে মারপিটসহ অফিসের টেবিলের গ্লাস ভাংচুর করিয়া ১২ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
উক্ত ঘটনার সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রমিজ আলম তাদেরকে বাধা প্রদান করিলে সংঘবদ্ধ বে-আইনি জনতার দল তাদেরকে ধাক্কা দেয় এবং লাঞ্ছিত করে। পাশাপাশি চলে যাওয়ার পূর্ব মূহুর্তে তারা আনিছুজ্জামানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি প্রদর্শন করেন।
এবিষয়ে রাহাদ মাহমুদ মৃন্ময় এর বাবা উপজেলা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান বাদী হয়ে ডোমার থানায় মামলা নং-০৬ তাং- ২১-০৬ ২০২২ইং দায়ের করেন।
এবিষয়ে মোফাজ্জল হোসেন মোফার স্ত্রী ও সিয়ামের মাতা স্বপ্না বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমার ছেলে সিয়াম ছোটবেলা থেকে হার্টের সমস্যার ভুগছিল।তার খাদ্যনালী চিকন হয়ে গেছে, এখন পর্যন্ত তার খাতনা দেয়া হয়নি।ডাঃ আগে তার হার্টের চিকিৎসা করাতে বলেছেন তারপর খাতনা।য় আমরাও তার চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সা জোগাড় নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছি। প্রথমে কৃষি অফিসারের ছেলে রাহাদ মাহমুদ মৃন্ময় আমার ছেলেকে ম্যাথরের বাচ্চা বলেছে, তখন আমার ছেলে সিয়াম তার গালে একটা চড় মারে, পরেক্ষনে কৃষি অফিসারের ছেলে ও আমার ছেলের গালে চড় মারে, উভয়ের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝির অবসান ও হয়। এরই মধ্যে কৃষি অফিসারের ছেলে রাহাদ তার মাকে গিয়ে চড় মারার বিষয়টি অবগত করেন এবং তার মা সঙ্গে সঙ্গে এসে আমার অসুস্থ ছেলে সিয়ামের সার্টের কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে তাদের বাসায় নিয়ে গিয়ে আমার সিয়ামের বুকের উপর পা দিয়ে চেপে ধরে বেদম মারপিট করে, বর্তমানে আমার ছেলে সিয়াম ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে, ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানায়, কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামানের এজাহারের ভিত্তিতে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অঞ্জাতনামা আসামিদের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেফতারের চেষ্টা আমাদের অব্যাহত রয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় অফিসে এসে কিছু লোক হামলা করে। এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।