শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন




নিখোঁজের ৩ দিন পর তিস্তায় ভেসে উঠল ফরিদার লাশ

নিখোঁজের ৩ দিন পর তিস্তায় ভেসে উঠল ফরিদার লাশ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
নিখোঁজের তিনদিন পর লালমনিরহাটের তিস্তা নদী থেকে ফরিদা বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার তিস্তা সড়ক সেতুর পূর্বদিকে নদীর পাড়ে জিহ্বা বের করা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফরিদা বেগম ঐ উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের কিসামত চোঙ্গাদারা গ্রামের ছাত্তার আলীর মেয়ে এবং খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের দুলাল হোসেনের স্ত্রী।

এর আগে, ৩১ মে নিখোঁজ হন ফরিদা। বুধবার রাতে মেয়ের নিখোঁজের ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি করেন নিহতের বাবা। ঘটনার পর নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিস্তা সড়ক সেতুর পূর্বদিকে নদীর তীরে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহতের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে ফরিদার লাশ শনাক্ত করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।

নিহতের বাবা ছাত্তার আলী জানান, ৬-৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের দুলাল হোসেনের সঙ্গে ফরিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। দুই সন্তান নিয়ে ভালোই চলছিল সংসার। মঙ্গলবার সকালে লোকজনের মুখে জানতে পারেন তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এরপর থেকে ফরিদাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ খবর শোনার পর তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। সব আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও মেয়ের সন্ধান পাননি। এ কারণে বুধবার রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি করেন।

নিহতের মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই দুলাল কারণে-অকারণে আমার মেয়েকে অমানসিক নির্যাতন করত। কয়েকবার হত্যার চেষ্টাও করেছিল। সে ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়েছে।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম জানান, ফরিদা বেগমকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এটি আত্মহত্যাও হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে বিস্তরিত জানা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com