শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন




চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান সম্পুন্ন

চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান সম্পুন্ন

এস এম রাফি চিলমারী, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে শুক্রবার দুপুর থেকে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ঢল নামতে শুরু করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। ধিরে ধিরে ভরপুর হয়ে উঠে নদীর তীর। গতকাল রাত থেকে অষ্টমী স্নান শুরু হয়েছিল। লাখো লাখো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পদভারে মুখোরিত ছিল ব্রহ্মপুত্র তীর। সুত্র জানায় শুক্রবার রাত ৯.১১ টা থেকে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট অষ্টমী প্রহর থাকলেও স্নানের উত্তম সময় ধরা হয়েছে শনিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট ৩ সেকেন্ড থেকে ১০টা ৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ড পর্যন্ত। প্রায় ৩লাখ পূণ্যার্থীর পদভারে মূখরিত হয়ে উঠেছিল চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা। হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র,হে লৌহিত্য, তুমি আমার পাপ হরণ করো। মন্ত্র উচ্চারণ করে পূণ্যার্থীরা কৃপা চান ব্রহ্মার। স্নান উৎসবে মেতে উঠেন পূণ্যার্থীরা। গত কয়েকদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থীরা ভিড় জমান উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজারভিটা, পুটিমারী নদীর তীর, চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। সড়ক পথে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অটো ও মোটরগাড়ি করে। নদী পথে ট্রলার ও নৌকাযোগে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে পূণ্যার্থীরা সমবেত হন ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। উৎসব কমিটির নেতারা বলেন, করোনার কারনে গত দু’বছরে উৎসব না হওয়ায় এবারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক পূণ্যার্থী যোগ দিয়েছেন স্নান উৎসবে। স্নান ও মেলা উপলে রাজারভিটা থেকে ফকিরেরহাট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বালুচওে বিভিন্ন স্থানে বসেছে মেলা, সার্কাস ও গানের আসর। বাঁশির সুর, ঢোলের শব্দ ও নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল চরাঞ্চল। স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী লোকজ মেলা। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান পূণ্যার্থীদের কল্যাণে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে নানা পদপে নেওয়া হয়েছে। ঘাটের পাশেই নারী দের কাপড় বদলানোর জন্য বুয়ের ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। সামাজিক ও সেবা মূলক সংঘঠন ক্যাম্প খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও নিয়ন্ত্রণক খোলা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশী পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপর দিকে স্নান উৎসব উপলে উপজেলা চেয়াম্যান মোঃ শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ স্নান উৎসব কেন্দ্র পরিদর্শন ও নজরদারী করেছেন। কথা হয় স্নান দিতে আসা শ্রী লতা রানী, অনিল চন্দ্র সহ অনেকের সাথে। তারা বলেন এবারের অবস্থা কিছুটা ভালো হয়েছে তবে গোছলের জন্য নিদিষ্ট কোন ঘাট না থাকায় কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে। এবং পয়নিস্কাশন ছিল নাজুক অবস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com