মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন




বিয়ের আসরে কনে রেখে পালাচ্ছিলেন বর, অতঃপর ধরা

বিয়ের আসরে কনে রেখে পালাচ্ছিলেন বর, অতঃপর ধরা

নিউজ ডেস্ক :
ঢাকার ধামরাইয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আর বিয়ের আসর থেকে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বর ও কনের বাবা। পরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন তারা। তবে তাদের ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার রাত ৭টার দিকে পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা কমিশনার মোড় এলাকায় আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে এ অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।

কনের নাম শামীমা আক্তার। তিনি তালতলা কমিশনার মোড় মহল্লার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ও ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী। আর বর মো. সাজ্জাদুর রহমান টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার দুনিগ্রামের মো. শাহআলমের ছেলে।

জানা গেছে, মতামত না নিয়েই শুক্রবার রাতে ঘটা করে শামীমাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। বর সাজ্জাদুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে পড়ানোর কাজও চলছিল। খবর পেয়ে রাত ৭টার দিকে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।

এ সময় বাড়ি ছেড়ে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন কনের বাবা মো. আব্দুর রাজ্জাক ও বর মো. সাজ্জাদুর রহমান। ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেলেও কনের বাবাকে ৫০ হাজার ও বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবু সাঈদ বলেন, আমার ওয়ার্ডে কোনো বাল্যবিয়ে হবে না। তাই বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসতিয়াক আহমেদকে জানাই। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু তার কথায় কর্ণপাত না বরে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার বিয়ে পড়ানোর আয়োজন করে। পরে বিষয়টি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়। এরপর তিনি ঘটনাস্থলে এসে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেই। কনের বাবাকে ৫০ হাজার ও বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com