পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
ভারত থেকে প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছে খুসনুমা নামে এক তরুণী। তার বাড়ি ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার হারিয়ানা গ্রামে। তিনি ঐ গ্রামের ইসরাইল হোসেনের মেয়ে। মুড়িমাখা সীমান্ত দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে গতকাল রাতে পঞ্চগরের তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষ্ণকান্তজোত গ্রামের হাসিনুর রহমানের বাড়িতে আসে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঐ তরুণী বাংলাদেশে আসার পর স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ হাসিনুরের বাড়ি থেকে ঐ তরুণীকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় খুসনুমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রেমের টানে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে খুসনামা নামে ঐ তরুণী। থানায় নেয়ার পর থেকেই আব্দুল লতিফ নামে এক তরুণ তার সঙ্গে কথা বলতে চায়। লতিফ পুলিশকে জানায়- খুসনুমার সঙ্গে তার আট বছরের সম্পর্ক। লতিফের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার মেলেহাট ইউনিয়নের রতনদিঘী গ্রামে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতের কেরালায় হোটেলে কাজ করেছিল লতিফ। পূজার ছুটিতে দেশে আসার সময় খুসনুমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সেই সুবাদে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তারা। গত সপ্তাহে লতিফ বাংলাদেশে ফিরে আসে। সেই খবরে খুসনুমাও ভারত থেকে পালিয়ে আসে।

এদিকে খুসনুমার বাংলাদেশে আসার খবরে ঠাকুরগাঁও থেকে তেঁতুলিয়ায় আসে প্রেমিক লতিফ। খুসনুমাকে নিজ বাড়িতে নিতে পুলিশের কাছে বারবার আকুতি জানায় সে। এ ঘটনায় তেঁতুলিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লতিফ খুসনুমাকে পাওয়ার জন্য থানার সামনে হাউমাউ করে কেঁদে যাচ্ছে। তার কান্নায় হৃদয়বিদারক দৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে। লতিফ বারবার পুলিশের কাছে বলছে- খুসনামার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। তার সঙ্গে সংসারের আশায় ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে খুসনুমা।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সায়েম মিয়া জানিয়েছেন, খুসনুমা ও লতিফের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে দুইজনের মধ্যে গভীর প্রেম। তবে মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় ঐ তরুণের হাতে তুলে দেওয়া যাচ্ছে না। ভারতীয় তরুণীর বাংলাদেশে প্রবেশের কথা বিজিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। বিজিবির সহযোগিতায় তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে।