শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন




প্রথম দিনে সমানে সমান লড়াই

প্রথম দিনে সমানে সমান লড়াই

স্পোর্টস ডেস্ক :
দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৮৭.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫৮ রান। প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেটে ৬৬, দ্বিতীয় সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেটে ৮১ ও শেষ সেশনে ৩০.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১১১ রান যোগ করেছে নিউজিল্যান্ড।

কিউইদের পক্ষে বছরের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ডেভন কনওয়ে, ফিফটির দেখা পেয়েছেন ওপেনার উইল ইয়ং। বাংলাদেশের পক্ষে জোড়া সাফল্য পেয়েছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। সবমিলিয়ে দুই দলের সমপরিমাণ লড়াইয়েই শেষ হয়েছে প্রথম দিনের খেলা।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হয়েছে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। সাত ব্যাটারের সঙ্গে তিন পেসার ও একমাত্র স্পিনার নিয়ে সাজানো হয়েছে সফরকারীদের একাদশ।

বাংলাদেশ বোলিং করতে নেমে শুরুর স্পেলে আগুন ঝরান তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ৮ ওভারের মধ্যে ছয়টিই ছিল মেইডেন, রান হয় মাত্র দুইটি। কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কিউই অধিনায়ক টম লাথামকে সাজঘরে ফেরাতে বেশি সময় নেননি শরিফুল। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই তিনি ফেরান অধিনায়ক লাথামকে।

এই উইকেটে অবশ্য বড় কৃতিত্ব ছিল উইকেটের পিছে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন দাসের। শরিফুলের ফুল লেন্থের ডেলিভারি ফ্লিক করেছিলেন লাথাম। কিন্তু ব্যাটের কানায় লাগে বল, পরে প্যাডে লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। নিজের বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় সেটি লুফে নেন লিটন।

শুরুর ধাক্কা সামলে দাঁড়ায় কনওয়ে-ইয়ংক। দিনের প্রথম ঘণ্টায় খেলা ১৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান করতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এরপর আর একবারের জন্যও কোনো সমস্যা হয়নি কিউইদের দুই টপঅর্ডার ব্যাটারের। দেখে শুনে খেলে প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান করে তারা।

কনওয়ের আগে নামলেও ফিফটির জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে ইয়ংকে। ইনিংসের ৪০তম ওভারে পূরণ ইয়ং-কনওয়ের জুটির ১০০ রান। এর কয়েক ওভারে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ইয়ং। তবে ফিফটি করার পর বেশিক্ষণ আর উইকেটে থাকা হয়নি তার।

মিরাজের করা ইনিংসের ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মিডউইকেটের দিকে ঠেলে দিয়েই সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দিয়েছিলেন ইয়ং। তাকে ফিরিয়ে দেন কনওয়ে। পরে ইয়ং পপিং ক্রিজে ফেরার আগেই নাজমুল হোসেন শান্তর করা থ্রোয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন লিটন। তিনি ফলে সাজঘরে ফেরে ১৩৫ বলে ৫২ রান করে এবং কনওয়ের সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি ভেঙ্গে যায়।

দ্বিতীয় সেশনের বাকি সময়টা দেখে শুনে ব্যাট চালিয়েই কাটিয়ে দেন টেলর ও কনওয়ে। প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেটে ৬৬ রান করা নিউজিল্যান্ড, দ্বিতীয় সেশনে সমান ২৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় ৮১ রান।

তৃতীয় সেশনে খেলতে নেমে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে বেশি সময় নেননি কনওয়ে। ইনিংসের ৬৭তম ওভারে মুখোমুখি ১৮৬তম বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। যেখানে ছিল ১৪ চার ও একটি ছয়ের মার। মাত্র সপ্তম ইনিংস খেলতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি।

তবে কনওয়ে একপ্রান্তে ভালো খেলতে থাকলেও তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি টেলরের। চতুর্থ উইকেটে ঠিক ৫০ রানের জুটি গড়ে শরিফুলের বলে সাদমানের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫ চারের মারে ৬৪ বল থেকে করেছেন ৩১ রান।

চতুর্থ উইকেটে হেনরি নিকলস ও কনওয়ে মিলে যোগ করেন ৩৮ রান। সেঞ্চুরিয়ান কনওয়েকে সাজঘরে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল। তার লেগ স্ট্যাম্পের বলে কট বিহাইন্ড হন ১২২ রান করা কনওয়ে।

প্রেথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ইনিংসের ৮৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ১১ রান করা ব্লান্ডেলকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন এবাদত হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com