মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন




তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
উত্তরখণ্ডে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের বেশ কয়েকটি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর প্রভাবে বাংলাদেশের নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকাগুলো তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। উজান ও ভাটি অংশের তীব্র স্রোতের কারণে নদীর দুই ধারের সব ফসলি জমি ডুবে গেছে।

বুধবার সকাল ৬টা থেকেই নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২.৬০) ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে (৫৩.১০) প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় এই পানি আরো ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ সেন্টিমিটার (৫৩.২০) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা অববাহিকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড রেড অ্যালার্ট (লাল সংকেত) জারি করে মানুষজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেও তিস্তার পানি সামাল দিতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ফ্লাড ফিউজ হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোনো সময় তা বিধ্বস্ত হতে পারে। এটি ভেঙে গেলে তিস্তা ব্যারাজের সঙ্গে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধার ও নীলফামারী জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

তিস্তার ভয়াবহ বন্যায় এলাকার হাজার হাজার পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেই পানি ১২ ঘণ্টায় ১০৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা সকাল ৯টায় আরও ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, এলাকার জিরো পয়েন্টে তিস্তার ডান তীর ও গ্রোয়েন বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে গ্রোয়েন বাঁধটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই গ্রোয়েনটি বিধ্বস্ত হলে ডান তীর বাঁধসহ এলাকার শত শত বাড়ি তিস্তা নদীতে ভেসে যাবে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ। তিস্তা বাজার, তেলিরবাজার, দোলাপাড়া, চরখড়িবাড়ি এলাকা তলিয়ে গেছে। চরের ফসলের জমি সব পানির নিচে। ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষজন গবাদি পশুসহ নিরাপদে সরে গেছে।

খালিশাচাঁপানী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, কার্তিক মাসের এমন হঠাৎ বন্যা এলাকাবাসীকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। এলাকার ছোটখাতা,বাইশপুকুর, সুপারীপাড়া গ্রাম এখন নদীতে পরিণত হয়েছে।

এ ছাড়া নীলফামারীর ডিমলাও জলঢাকা উপজেলার ২২টি চরের ৫০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com