শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন




আকস্মিক বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

আকস্মিক বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

আশিক উল ইসলাম লেমন, ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধি :
উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষনের ফলে আকস্মিক বন্যায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা এলাকায় জারিকরা হয়েছে রেড এলার্ট। বাধ ভেঙ্গে প্রায় ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙ্গে গেছে ফ্লাট বাইপাসটি। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন করছে। পানির ¯্রােতে ভেসে গেছে গবাদি পশুসহ অসখ্য গাছপালা ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আবাদি ফসলের।

জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ি বুধবার সকালে থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটার) ৭০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বুধবার সকাল পয্যন্ত তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টি পাতের কারনে তা দ্রæত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এবং বুধবার সকালে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যার কারনে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ভারত বাংলাদেশ যৌথবাধ, স্বপনবাধ ভেঙ্গে গিয়ে ৩ হাজার পরিবার, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পাগলপাড়া এলাকার রিংবাধ ভেঙ্গে গিয়ে ১০০০ পরিবার, পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিংহেরশ্বর এলাকার গ্রইনবাধ ভেঙ্গে গিয়ে ১৫০০ পরিবার, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এলাকার টিবাধ ভেঙ্গে গিয়ে ৭০০ পরিবার, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ী এলাকার তিস্তার ডানতীর স্পারবাধ দুটি ভেঙ্গে গিয়ে ১০০০ পরিবার ও খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা এলাকার বাংলার জ্যোতি ও বাইশপুকুরবাধ ভেঙ্গে ১৩০০ পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ডালিয়া (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুদৌলা প্রিন্স বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে বুধবার দুপুর পয্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে, জারিকরা হয়েছে রেড এলার্ট এবং আমরা সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হাসান(অঃদাঃ) বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে তিস্তা নদী এলাকার কয়েকটি বাধ ভেঙ্গে নদী বেষ্টিত বেশকিছু এলাকার ঘরবাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা স্বরেজমিনে পরিদর্শনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রননের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সব সময় খোজ খবর রাখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com