শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন




জুনোটিক রোগে মৃত গরুর খামারীদের মাঝে ২১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চেক বিতরণ

জুনোটিক রোগে মৃত গরুর খামারীদের মাঝে ২১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চেক বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার :
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভ্যাটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় রংপুর বিভাগের চেক বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পরিচালক ডা. ইসমাইল হক এর সভাপতিত্বে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা: শেখ আজিজুর রহমান , প্রকল্প পরিচালক ডা. মোঃ আজিজুল ইসলাম প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর ডা. মোঃ মকবুল হোসেন সহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। চেক বিতরণি অনুষ্ঠানে ৩২ জন খামারির মাঝে ২১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এর আগে ঢাকা বিভাগে ২৭ জন খামারির মাঝে ২০ লক্ষ আশি হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছিল।
প্রকল্প পরিচালক ডা. মো: আজিজুল ইসলাম জানান যে, যে রোগ গুলো গবাদিপশু হতে মানুষের ছড়ায় সে রোগগুলোকে জুনোটিক রোগ বলা হয়। জুনোটিক রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম চারটি রোগ হচ্ছে, টিবি, ব্রুসেলোসিস, অ্যানথ্রাক্স এবং রেবিস। ডা. মোঃ আজিজুল ইসলাম জানান যে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্প এই চারটি রোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই চারটি রোগের সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং এই রোগের বিস্তার রোধ করায় এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি আরো জানান যে, অনেক খামারি লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জুনোটিক রোগে আক্রান্ত পশু বাজারে অথবা মাংস বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। কিছু কিছু অসাধু মাংস বিক্রেতা বেশি মুনাফার আশায় সেই অসুস্থ পশুটি জবাই করে বাজারে বিক্রি করে। অথচ এই জুনোটিক রোগে আক্রান্ত পশুগুলোর সংস্পর্শে আসা বা এই পশু গুলোর মাংস খাওয়া মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, শুধু তাই নয় কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যু অবধারিত। তাই মানুষকে এই ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই প্রকল্প দিনরাত কাজ করে চলেছে।
শুধু তাই নয় জুনোটিক রোগে আক্রান্ত পশুর মালিকে তার পশুটি বিক্রয় করা হতে নিরুৎসাহিত করার জন্য তার প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্থ পশুর মালিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। প্রকল্প পরিচালক ডা. মোঃ আজিজুল ইসলাম
আরো বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে দেশে মাছ মাংস দুধ ডিম এর কোন অভাব নেই । তাই দেশের মানুষ অতি সহজেই তাদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে। তিনি আরো বলেন যে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে রোগ জীবানু মুক্ত নিরাপদ প্রাণীজ আমিষ দেশের মানুষকে উপহার দেওয়া। আর সেই উদ্দেশ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই প্রকল্প কাজ করে চলেছে। তিনি আরো জানান যে আপাততো ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত জুনোটিক রোগে আক্রান্ত পশুর মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com