শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
শামীম রেজা ডাফরুল, গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মৃত্যুর ১ মাস পর আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য খোরশেদ আলম (৩৮) নামে এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের উজিরের পাড়া বাইগুনী গ্রামে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফয়েজ উদ্দিনের উপস্থিতিতে ওই যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়। খোরশেদ আলম মৃত আব্দুল খালেক বেপারীর পুত্র।
জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মরিয়ম তার ভাই উজিরের পাড়া বাইগুনী গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে ওয়াজেদ আলী ও মানিক এবং হীরাকে সাথে নিয়ে খোরশেদকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মুখ, হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করতে থাকে। এ সময় খোরশেদ অসুস্থ হয়ে পরলে তার গলায় গামছা পেচিয়ে স্বাসরোধে হত্যা করে। লাশের গোসল করার সময় আত্বীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা তার শরীরে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখলে তার মা পারুল বেগম লাশ দাফনে আপত্তি জানায়। তার পরেও মরিয়ম ও ভাই ওয়াজেদ আলী প্রতিবেশী ও সকলকে ভুল বুঝিয়ে দ্রæত লাশ দাফন করে। পরে পারুল বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে এই লাশ উত্তোলন করা হয়।
আসামিরা হচ্ছেন মোছা: মরিয়ম বেগম (৪৫), মো: ওয়াজেদ আলী সরকার (৩৮), মো: মাহামুদুল হাসান বেপারী ওরফে মানিক (২৪) ও মোছা: হীরা খাতুন (২০)।
পরে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার খোরশেদ আলম (৩৮)-এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জসীম উদ্দীনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নিহতের আত্বীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা খুঁনির ফাঁসির দাবিতে সোনাতলা-জুমারবাড়ি সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।