শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন




মাঠকর্মীদের ৮ লাখ টাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পকেটে

মাঠকর্মীদের ৮ লাখ টাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পকেটে

নিউজ ডেস্ক :
করোনাকালীন মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে আসা ৮ লাখ টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব শাখাকে না জানিয়ে ওই টাকা তুলে নেয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় ডা. মিজানুর রহমানের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও মারপিটের শিকার হয়েছেন কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো.সাইদুজ্জামান। ঘটনার পর থেকে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানা গেছে, করোনাকালে বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতার জন্য মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য ৮ লাখ টাকা আসে গত জুন মাসের ২৭/২৮ তারিখে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান হিসাব বিভাগকে কিছু না জানিয়ে ওই টাকা তুলে নিয়েছেন এবং হিসাব বিভাগকে তা জানতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া এ পর্যন্ত মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদেরও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে দেওয়া হয়নি।

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালিসহ তাকে কিল-চড়, ঘুষি-লাথি মারতে শুরু করেন। অবস্থা অনিয়ন্ত্রিত দেখে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. অভিজিৎ মল্লিক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোস্তফা আকুঞ্জি দৌড়ে এসে ডা. মিজানুর রহমানের হাত থেকে সাইদুজ্জামানকে রক্ষা করেন।

ভুক্তভোগী হিসাবরক্ষক মো. সাইদুজ্জামান বলেন, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা আমার কাছে তাদের পাওনা চায়। আবার অডিটের সময়ে আমাকেই জবাব দিতে হয়। এভাবে টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করে নিলে আমি মাঠকর্মীদের কাছে কি জবাব দেবো, আর অডিটকে কী দেখাবো। এই কথাটাই আমি তার (স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) কাছে জানতে চেয়েছি। আর এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার এমন হাল করেছেন। তখন আমাকে উদ্ধার না করা হলে আমার কি যে অবস্থা হতো। আমি এ ব্যাপারে থানা-পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগে লিখিত অভিযোগ দেবো।

তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর অফিসে আমার বিরুদ্ধে আবেদন লিখে তাতে অন্যদের সই করতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেওয়ার জন্যও তদবির চলছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com