শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন




চিলমারীতে ২৪১জন শিশুকে সাঁতার শিখিয়েছে ফ্রেন্ডশিপ

চিলমারীতে ২৪১জন শিশুকে সাঁতার শিখিয়েছে ফ্রেন্ডশিপ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ ২০২১সালে চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ও অষ্টমীর চর ও চিলমারী ইউনিয়নের মোট ২৪১জন শিশুকে সাঁতার শিখিয়েছেন।
ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রকল্পের আওতায় ফ্রেন্ডশিপ সাঁতার শেখানোর এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রস্তাবনায় প্রথমবার পালিত “আন্তর্জাতিক পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস” পালন উপলক্ষে ২৫জুলাই রবিবার সকালে গণমাধ্যমের কাছে ফ্রেন্ডশিপ এ তথ্য প্রকাশ করে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের বিল্ডিং রেজিলিয়েন্স থ্রো সিআইডিআরআর প্রকল্পের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ মোশরেফুর রহমান ও সিআইডিআরআর (নর্থ সাউথ) প্রকল্পের প্রজেক্ট ইনচার্জ মোঃ লাবিবুল ইসলাম “আন্তর্জাতিক পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস” উপলক্ষে গণমাধ্যমকে জানান, ফ্রেন্ডশিপ ডিজাষ্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং বন্যা স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট, অষ্টমীরচর ও চিলমারী ইউনিয়নে ২০২১সালে মোট ২৪১জন শিশুকে সাঁতার শেখানো হয়েছে। তারা আরো জানান, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এ্যান্ড রিচার্স বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এর গবেষণা মতে বাংলাদেশে প্রতি বছর ০-১৭বছর বয়সের ১৪হাজার ৫০০ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। তাই ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর, নয়ারহাট ও চিলমারী ইউনিয়নে ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রকল্পের মাধ্যমে সাঁতার শেখানোর কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের কর্ম এলাকার সকল ইউনিয়নের চরগুলিতে শিশুদের সাঁতার শেখানোর কার্যক্রম চলমান থাকবে। এলাকার শিশুদের সাঁতার শেখানোর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ। তারা বলেন, চরাঞ্চলের শিশুদের সাঁতার শেখানোর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রশিক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে।
এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রকল্পের চলমান সাঁতার শেখানো কার্যক্রমে সব ধরণের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। জানাযায়, প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে “পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস”।
গত এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে নিরব মহামারী স্বীকৃতি দিয়ে প্রতি বছর ২৫জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে “পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস” পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ সাধারন পরিষদ।
উল্লেখ্য, পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলায়। গত ১৯ মাসে কুড়িগ্রাম জেলায় অন্ততঃ ৬৩জন পানিতে ডুবে মারা যায়। তাদের মধ্যে ২৬জন নারী ও কন্যা শিশু এবং ৩৭জন পুরুষ ও ছেলে শিশু। মারা যাওয়া ৬৩জনের মধ্যে অন্ততঃ ১৮জন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com