শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন




যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর তলপেটে আঘাত করলেন স্বামী

যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর তলপেটে আঘাত করলেন স্বামী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের উলিপুরের দারিকা গ্রামে যৌতুকের না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর তলপেটে আঘাত করে সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাইমুল ইসলাম লিমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্যাতনের শিকার তামান্না বেগম। বর্তমানে তাকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে চাপ ও হুমকি দিচ্ছে আসামি পক্ষ।
আসামি নাইমুল ইসলাম লিমন উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের দারিকা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। বাদী তামান্না বেগম একই ইউনিয়নের বিজয়রাম তবকপুর গ্রামের মেজবাহুল আজমের মেয়ে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে লিমনের সঙ্গে বিয়ে হয় তামান্নার। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই যৌতুকের জন্য তামান্নাকে মারধর করত স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ। এরই মধ্যে তিনি ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পেটে তিন মাসের সন্তান থানার কথা স্বামীকে জানান তামান্না। বিষয়টি জানতে পেরে লিমন ও তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে সন্তান নষ্ট করতে উঠেপড়ে লাগে। সংসার ও সন্তানের কথা চিন্তা করে সবকিছু সহ্য করছিলেন তামান্না।

গত ২১ এপ্রিল স্বামীর পরিবারের লোকজন আবারো দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তামান্নাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে অন্তসত্ত্বা স্ত্রীর তলপেটে একের পর এক আঘাত করতে শুরু করে লিমন। এতে তামান্নার রক্তক্ষরণ শুরু হলে কৌশলে চিকিৎসার কথা বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে একটি বাড়িতে নিয়ে সন্তান নষ্ট করে স্বামী লিমন। বিষয়টি কাউকে জানালে তামান্নাকে ডিভোর্স ও হত্যার হুমকি দেয় সে।

পরবর্তীতে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের কারণে নির্যাতনের শিকার তামান্না গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি তার বাবাকে মোবাইলে জানান জানায় লিমন। ২৪ এপ্রিল তামান্নাকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান বাবা মেজবাহুল আজম। ২৬ এপ্রিল লিমন ও তার বাবা-মা-বোনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

নির্যাতনের শিকার তামান্না বেগম বলেন, মামলার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। উল্টো মামলা তুলে নিতে আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

উলিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন বলেন, আসামিরা পলাতক। মামলার পর থেকেই তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উলিপুরের ইউএনও নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, গৃহবধূ তামান্না বেগমকে নির্যাতনের ঘটনাটি পুলিশকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com