মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৫ অপরাহ্ন




লাল শিমুল-পলাশে ছেয়ে গেছে ফুলবাড়ী

লাল শিমুল-পলাশে ছেয়ে গেছে ফুলবাড়ী

নুরনবী মিয়া, ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
ষড়ঋতুর বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস অন্তর রূপ পরিবর্তন করে। শুরু হয় গ্রীষ্ম দিয়ে আর শেষ বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী ঋতুরাজ বসন্ত দিয়ে। বসন্ত এলেই শিমুল পলাশের লাল ফুলে ছেয়ে যায় প্রকৃতি। বসন্তের এই বৈচিত্রতা চঞ্চল করে দেয় প্রকৃতিপ্রেমীদের মন।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গ্রামের পথে প্রবেশ করলেই নজর কারে সাড়ি সাড়ি শিমুলগাছের ফুটন্ত লাল ফুল। এছাড়াও বাহারি রঙের বসন্তের ফুল নবসাজে সাজিয়ে তোলে গ্রামীণ প্রকৃতি। ডালে ডালে বাহারি বর্ণের সুগন্ধি ছড়ানো ফুল আর পাখির কলরবে মুখরিত চারপাশ। এ যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি।

কবিগুরু সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন- আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়….। পলাশের রূপে মুগ্ধ হয়ে লিখে ছিলেন, রাঙ্গা হাসি রাশি রাশি অশোক পলাশে। পলাশ ছাড়া বসন্তের কথা ভাবাই যায় না। তাই বসন্তের কবিতা আর গানে বারবার পলাশের উপস্থিতি। কবি দ্বিধান্বিত, বসন্তের পলাশ নাকি পলাশের বসন্ত!

বনের মতোই অনাদিকাল ধরে বাঙালীর মন রাঙিয়ে দিয়ে যাচ্ছে বসন্ত। গাছের নতুন পাতায় ভোরের সূ্র্যের আলো ঝিলিক দেয়। বাগান ভরে উঠে ফুলে ফুলে। চোখ খুললেই দেখা যায় গোলাপ, জবা, পারুল, শিমুল, পলাশ, কাঞ্চন, মাধবী, কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। মৌমাছির গুঞ্জন আর কোকিলের কুহুতানে মুখরিত হয় বাতাস। মৌমাছিরা মধুর খোঁজে হন্যে হয়ে ছুটে চলে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে। প্রকৃতির এই কোমল পরশ জানিয়ে দেয় সকলের দ্বারে আজি বসন্ত।

ফাগুনের এই ক্ষণে বিবর্ণ প্রকৃতি জেগে উঠেছে নতুন করে। বাগানের ফুটন্ত কুসুম মনের গহীন কোণের অতি সূক্ষ্ম পুলক জাগিয়ে দেয়। উতলা হয়ে ভাটি বাংলার সাধক পুরুষ লোক কবি শাহ আব্দুল করিম গেয়ে উঠেন- বসন্ত বাতাসে সই গো/বসন্ত বাতাসে/বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে…। কবিগুরু লেখেন- অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে/আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে-/দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া/আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে রে…। সব মিলিয়ে অনন্য ঋতু বসন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com