শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন




লালমনিরহাটে অন্ধকারাচ্ছন্ন শহীদ মিনারে ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা

লালমনিরহাটে অন্ধকারাচ্ছন্ন শহীদ মিনারে ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
রাদেশের মতো ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ধোয়া-মোছার কাজ করেন শহীদ মিনারের দায়িত্বে থাকা কমিটি। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি থাকে অন্ধকারাচ্ছন্নে। আলো এক স্বল্পতায় ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাসহ শিক্ষকরা।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একপাশেই বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে একটি হ্যালোজিন লাইট লাগানো হয়। আর আরেকটি পাশে ব্যাটারির সোলারের লাইট। কিন্তু সোলারের লাইট রাত ১১টার আগেই চার্জ শেষ হয়ে গেলে পুরো শহীদ মিনার চত্বরটি অন্ধকার হয়ে পড়ে। এতে করে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি আলো সল্পতায় এক ভূতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রাত ১২টা ১টি মিনিটে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের হাজারো মানুষের ঢল নামে, কিন্তু আলো স্বল্পতা দেখে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ও দায়িত্বে থাকা আয়োজকদের নিয়ে করেন আলোচনা-সমালোচনা। এ সময় আয়োজকরা বিষয়টি টের পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা নেন।ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি এসে লাইট জ¦ালিয়ে কিছুটা অন্ধকারের থেকে রেহাই পান। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় অনেকেই ছবি তুলতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন শ্রদ্ধা জানাতে আসা ব্যক্তিরা। পরে অন্ধকারে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা।
ওই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) ফেরদৌস আলম, কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেনসহ মুক্তিযোদ্ধা, উচ্চ পদস্থসরকারী কর্মকর্তারা এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও বিএনপিথর উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নাম না বলা শর্তে এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, প্রথম প্রহরে জাঁতি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসথ পালিত করা হয়েছে। তবে অনেকটা অন্ধকারেই। কেন? মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের প্রতি অবহেলা করেছে প্রশাসন বলে তার দাবী।
কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলুল আলম জাদু বলেন, শহীদ মিনার চত্বরে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় অনেক লোকজনকে চেনাই যায় না।
সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন টুলু বলেন, লাইট একটু কম ছিল, যার কারণে আমাদের একুট দেখতে সমস্যা হয়েছে। তবে এটা ঠিক হয়নি। আশা করছি এর পরের বার এমন করবে না প্রশাসন।
শহীদ মিনারের উপ কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান বলেন, দুই দিকে দুটো লাইট দেয়া ছিল, তাই আর কোন লাইটের ব্যবস্থা করা হয়নি।, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার মাঠে আয়োজন না থাকায় বেশি লাইটের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে এরপর থেকেই লাইটিং ভালো করা হবে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, সন্ধ্যার পরে একবার দেখেছি, তখন আলো স্বল্পতার চোখে পড়েনি। কিন্তু রাত ১২ আগে ঠিকেই আলো স্বল্পতার বিষয়টি দেখেছি। তবে এই বিষয়টি পরবর্তীতে খেয়াল রাখা হবে বলেও তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com