শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক :
বেশ ছটফটে স্বভাবের ছিলেন জান্নাতুল হাসিন। লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি ব্যাংকে ইন্টার্নি করছিলেন। কিন্তু মাত্র ৮ মিনিটে কী ঘটল ফুরফুরে মেজাজের এ মেয়েটির জীবনে, যে সময়ের মধ্যে তাকে লাশ হতে হলো। তবে এ রহস্য এখনো জানা যায়নি।
জান্নাতুল হাসিনের বাড়ি কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পশ্চিম পাড়ায়। তার বাবার নাম ইদ্রিস মেহেদী। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) থেকে বিবিএ শেষ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে গোল্ড সিলভার হোমস নামের একটি নয়তলা আবাসিক ভবনের নিচ থেকে জান্নাতুলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বাবা ইদ্রিস মেহেদী বলেন, সোমবার রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লার নিজ বাসায় আসে জান্নাতুল। কোনো কারণে তার মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শ্যাম্পু আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। পরে জানতে পারি নয়তলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে আমার মেয়ে। তবে জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছিল নাকি অন্য কিছু ঘটল তা এখনো জানতে পারিনি।
১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর কাদের মনি বলেন, আমি অফিসে বসেছিলাম। হঠাৎ একটি বিকট শব্দ পেয়ে বাইরে যাই। বের হতেই গোল্ড সিলভার হোমস ভবনের নিচে জান্নাতুলের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে।
গোল্ড সিলভার হোমস ভবনের নিরাপত্তারক্ষী হাবিবুর রহমান বলেন, বাসায় ঢোকার সময় কার কাছে যাবে জানতে চাইলে জান্নাতুল জানান, ছয়তলায় রাফি আঙ্কেলের মেয়ে সোহানার কাছে যাবেন। ৮-১০ মিনিট পরই দেখি তার লাশ নিচে পড়ে আছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক জানান, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছি। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।