শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন




উলিপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঔষধী গাছ

উলিপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঔষধী গাছ

ফয়জার রহমান রানু, উলিপুর (কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের উলিপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঔষধী গাছ। এ অ লের মাটিতে জন্ম নেওয়া ঔষধী উদ্ভিত আর চোখে পরে না। এক সময়ে বন-জঙ্গলে, পুকুর পাড়, নালার ধারসহ গ্রামীন জনপদের উঁচু স্থান গুলোতে বিভিন্ন জাতের ঔষধী গাছ দেখা যেত। এখন সে সব বিলপ্তির পথে, উপজেলার গুনাইগাছ, থেতরাই, বজরা, ধরণীবাড়ী সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামে গঞ্জে এক সময় প্রচুর ঔষধের উদ্ভিত জন্মিত। থেতরাই ইউনিয়নের কবিরাজ পরিবারের সন্তান বাইজীদ বোস্তামী বলেন, ‘আমার দাদা ইব্রহীম আলী মাষ্টার দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে দীর্ঘ সময় ধরে ঔষধী গাছের কবিরাজি চিকিৎসক ছিলেন। স্থানীয় ও দুর-দুরান্ত থেকে আগত রুগীকে ঔষধী গাছের ভেষজ দিতেন এবং তার দেওয়া ঔষধ সেবন করে অনেক রোগ ভাল হত। গুনাইগাছ গ্রামের আব্দুর রহিম জানান আমার বাবা মরহুম কেরামত আলী একজন নাম করা কবিরাজ ছিলেন। আমি দেখেছি বাবা নিজেই কালমেঘ, নিম গাছ, আম লক্ষী, বয়রা, হরতকী, শতমুলী, তেলা কুচা, অসক গাছ, বাসক থানকুনি, ভুঁই কুমরা, পাথর কুচি, অর্জুন গাছ লাগাতেন এবং পরিচর্যা করতেন। বাবা মারা যাবার পর এসব গাছ রাখা হয়নি বাড়ীতে এলাকার কয়েক জন প্রবীন কবিরাজ জানান এক সময় বনে জংগলে বাড়ীর আসপাশে পুকুর পাড়ে নানা জাতের ঔষধী উদ্ভিত জন্ম নিত। শিশু-কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত অসুখ হলেই ঔষধী গাছের বাকল পাতার রশ করে খাওয়াতেন, রোগও নিরাময় হত। আজ ঔ সব ঔষধী গাছ ১০-১২ গ্রাম ঘুরেও আর পাওয়া যায় না। এলাকার শ্রী রাম মহন রায় বলেন ৪০ বছর ধরে কবিরাজী চিকিৎসা করে আসছি। ৯০ এর দশক পর্যন্ত ভেষজ ঔষধের প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল প্রচুর। কিন্তু এখন আর ঔষধী গাছ চোখে পড়ে না।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com