শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৮ অপরাহ্ন




জলঢাকায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না জোড়া লাগা যমজ শিশু লাবিবা-লামিসার

জলঢাকায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না জোড়া লাগা যমজ শিশু লাবিবা-লামিসার

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :
নীলফামারীর জলঢাকায় জন্ম নেওয়া যমজ জোড়া লাগা কন্যা শিশু দুটি লাবিবা ও লামিসার ভবিষ্যৎ কি হবে? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জোড়া লাগা শিশুর বাবা-মাসহ উপজেলা জুড়ে।

জন্ম নেওয়ার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের শরীরে অস্ত্রোপচার না হওয়ায় জোড়া লাগা রয়ে গেছে। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না শিশু দুটির বাবা লাল মিয়া। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার পক্ষে চিকিৎসার জন্য এত টাকা যোগান দেওয়া অসম্ভব। তাই তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

গত বছরের ১৫ এপ্রিল নীলফামারীর জলঢাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে লাবিবা ও লামিসা দুই যমজ বোন। জন্ম থেকেই শিশু দুটির কোমরে রয়েছে জোড়া লাগা।

উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের যদুনাথপাড়ার আমিন আলীর ছেলে লাল মিয়া দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করে জোড়া লাগানো যমজ শিশু। বেড়ে ওঠার সাথে তাদের বাড়ছে নানান চাহিদা, একজনের সাথে অপর জনের মিলছে না কোন কিছুতেই। তাদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।

জোড়া শিশুদের মা মনুফা বেগম বলেন চার হাত, পা, মাথা আলাদা থাকলেও, সম্পর্ক রয়ে গেছে দেহের সাথে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে নানান চাহিদা। একজনের সাথে অন্য জনের নেই কোন কাজের মিল। একজন দাঁড়ালে অপরজন চায় বসতে। আর কেউ ঘুমলে অন্যজনের কান্নায় ভেঙে যায় ঘুম। জন্মের পরেই তাদের মলদ্বার না থাকায়। পেটের মধ্যে পৃথক ভাবে গড়ে দেয়া হয় মলদ্বার।

লাবিবা লামিসাদের বাবা লাল মিয়া বলেন, আমি ঢাকায় ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছি, তারা বলেছেন সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার করতে পারলে শিশু দুটিকে আলাদা করা যাবে। সেই জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা যা আমাদের কাছে নেই।

এ বিষয়ে জলঢাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এএইচএম রেজওয়ানুল কবীর বলেন, জোড়া লাগা শিশু দুটির ব্যাপারে সিভিল সার্জনের সাথে কথা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলে তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন, শিশু দুটির চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলছি এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টিতে আছে।সমাজের বিত্তবান মানুষরা শিশু দুটির চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী গত বুধবার শিশু দু’টির জন্য হুইল চেয়ার প্রদান করেছেন এবং চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।

তারপর প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানে দেশের বিত্তবান মানুষের সহযোগীতা কামনা করছে লাবিবা লামিসার বাবা লাল মিয়া। তিনি তার ০১৭৩৩৯৩২৬০৬ নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com