রবিবার, ১১ Jun ২০২৩, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
সুজন আহম্মেদ, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। বন্যাসহ নানা আপদকালীন সময়ে দেশে সবজি উৎপাদনে কোনো প্রভাব না পড়ে সেই লক্ষ্যে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে প্রতি ইি কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বসত বাড়ির আঙ্গিনা সহ পতিত জমিতে স্থাপন করা হচ্ছে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বৃষ্টি ও দফায় দফায় বন্যার কারণে কৃষকের আগাম সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। সবজি চাষ চলমান রাখার জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের ফেলে রাখা বাড়ির আঙ্গিনা সহ পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছে। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ২৮৮ জন কৃষকের বাড়িতে পারিবারিক পুষ্টির বাগান তৈরীর কাজ করতে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন কৃষি কর্মকর্তাগন। প্রতিটি পারিবারিক পুষ্টি বাগানে উৎপাদিত নানা রকমের বিষমুক্ত সবজি দিয়ে কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজিগুলো বাজারজাত করে বাড়তি অর্থ আয় করছেন। উপজেলার দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের কৃষক আব্দুল বারী স্বপন বলেন, বীজসহ বাগান তৈরীর খরচ হিসেবে সরকারের কাছ থেকে ১৯৩৫ টাকা পেয়েছি। বাগান থেকে উৎপাদিত সবজি দিয়ে একদিকে যেমন আমার পারিবারিক সবজির চাহিদা মিটাতে পারছি অন্যদিকে বাড়তি সবজি বিক্রি করে আমার বাড়তি অর্থ আয় হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের মাঝে পারিবারিক পুষ্টি বাগান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা প্রতিটি বাগানের জন্য ঢেঁড়স, ধনিয়া, লাউ, সিম, ডাটা, চিচিংগা, কলমি শাক, লাল শাক, পালং শাক, মুলা শাক ও করলাসহ ১৫ প্রকারের সবজি বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছি। আমরা আশা রাখি আগামীতে উপজেলার প্রতিটি বাড়িতেই তৈরি হবে একটি করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।