বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন




জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এক অসহায় পরিবারের সাংবাদ সম্মেলন

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এক অসহায় পরিবারের সাংবাদ সম্মেলন

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহন এবং পরিবার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এক অসহায় পরিবার সাংবাদ সম্মেলন করেছে।
মঙ্গলবার রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা রিপোটার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালায়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহিগঞ্জ মেট্রো থানার ফতা বাবুর দীঘি এলাকার আজাহার আলীর ছেলে রশিদুল ইসলাম বলেন, তাদের প্রতিবেশি বাউরা এবং শামছুল হকের ছেলে হালিম, আফজার, মমিন, সুরুজ, আনারুল, রুবেল,মজনু সহ তাদের পরিবারের ৩৫/৪০জন সদস্য এলাকায় মাদক ব্যবসা,চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরেনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এসব অপকর্মের কারনে প্রায় ৫মাস আগে আনারুল, রুবেল, সুরুজ, মমিন এবং তার স্ত্রী আলেয়া গাজা ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলে যায় এবং জামিনে বেড়িয়ে এসে আবারো তাদের মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসী পরিবার রংপুরে জেলার বাসিন্দা হলেও দেশস্বাধীনের পর তারা দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ধুলট এলাকায় বসবাস শুরু করে। সেখানে গিয়েও তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় এবং এক এতিমের ৩বিঘা জমি জোড় পূর্বক দখল করে। এর ফলে ওই এলাকার লোকজন তাদেরকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করে দিলে বিভিন্ন জায়গায় ভাসমান অবস্থায় থাকার পর আমার দাদা হোসেন আলী নাম মাত্র মূল্যে ৪৮শতাংশ রেজিষ্ট্রেশন দিয়ে তাদেরকে আশ্রয় দেয়। তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার পর থেকে তারা আবারো পুরনো পেশা চুরি, ডাকাতি, ছিনতায়,খুনসহ অপকর্ম শুরু করে। তাদের এমন আচরনের জন্য এলাকায় আকাধিক বিচার শালিস হয়।
তিনি বলেন, শামছুলদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার বাবা-মা সহ আমাদের পরিবারের উপর নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার, মামলা হামলা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সন্ধ্যার পর সুরুজ আলী, মমিন, হালিমসহ তাদের লোকজন আমার বাবা আজাহার আলীকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়ভাবে সেটা মীমাংসা হয়। এভাবে তারা আমাদের পরিবারের উপর বিভিন্ন সময় হামলা করে আসছে। সর্বশেষ গত জুন মাসে পুকুর পাড়ে বৃক্ষরোপনকে কেন্দ্র করে তারা আমাদেরকে । অকর্থভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাড়ির ভিতরে ঢুকে আমার মা বোন, ছোট ভাই বউকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতারি মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। তাদেরকে কাউনিয়া থানায় ভর্তি করে তাদের ১৬জনকে আসামী করে মাহিগঞ্জ মেট্্েরা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। পরে আসামীরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে এসে ওই দিনেই তারা আমাদের ১৪৫টি হাস বিল থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের এমন আচরনের কথা মাহিগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানোর পরেও কোন সুরাহা না হওয়ায় তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসময় তার মা-বাবা এবং বোন উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com