শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন




গঙ্গাচড়ায় ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি ও শতাধিক ঘর বাড়ি বিলীন

গঙ্গাচড়ায় ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি ও শতাধিক ঘর বাড়ি বিলীন

সুজন আহম্মেদ, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের প্রভাবে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চলের প্লাবিত হয়ে ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে ২ শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ। তলিয়েছে বীজতলা ও আমন ক্ষেত। উপজেলা প্রশাসন বানভাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের দেওয়া তথ্যমতে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখালচর, চরমটুকপুর, খলাইরচর, বিনবিনা, সাউদপাড়া, আলেকিশামত ও উত্তর কোলকোন্দ বাঁধেরধার ২ হাজার, নোহালী ইউনিয়নের বাগডোহরা, মিনার বাজার, চর নোহালী, বৈরাতী ও কচুয়ার ২ হাজার ৫’শ, ল²ীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চর ইচলী, বাগেরহাট, চর চল্লিশসাল, বাগেরহাট আশ্রয়ণ, কাশিয়াবাড়ি চরের ৩ হাজার, গজঘন্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাক, রামদেব, কামদেব, মহিষাশহরের ৩ হাজার, মণের্য়া ইউনিয়নের তালপট্টি, নরসিংহ, ভাঙ্গাগড়া, কিসামত, মর্ণেয়ার চর, আলাল চরের ২ হাজার ৫’শ হাজার, গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের ধামুর বাঁধেরপাড়, গান্নারপাড়, বোল্লারপাড়ের ৩’শ ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান, হাজীপাড়া, ব্যাঙপাড়া এলাকার ৩’শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট এলাকার আনোয়ারুল, জিল্লুর রহমান, মতিয়ার রহমান, সাবিনা বেগম, আজিজুল ইসলাম জানান, গত রবিবার রাত থেকে তিস্তার পানি বেড়ে বাড়ি ঘর তলিয়ে যাওয়ায় রান্না বান্না করতে না পেরে শুকনো খাবার খেয়ে আছি।
ল²ীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তিনি রাত থেকে শংকরদহ ও বাগেরহাট এলাকার লোকজনকে নিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করছেন। এছাড়া গত ৭ দিনে তিস্তার ভাঙনে তার এলাকায় শতাধিক পরিবার বিলীন হয়েছে।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তিনি ভোরে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এনামুল কবীর, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় নতুন করে ৫০ মেট্রিনটন চাল ও শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা কোলকোন্দ, গজঘন্টা, ল²ীটারী, মর্ণেয়া ইউনিয়নে বানভাসী ২ হাজার পরিবারের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন, মোমবাতিসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন







© All rights reserved © uttorersomoy.com
Design BY BinduIT.Com