শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
৮০২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনে প্রায় ৩৮হাজার গ্রাহকের জন্য মাত্র ১০জন লাইনম্যান দিয়ে চলছে রংপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি- ২ কাউনিয়া জোনাল অফিস। লোকবল সংকটের কারনে ইলেক্ট্রেশিয়ানদের দ্বারা দেয়া বিদ্যুৎ সংযোগ এতে করে গত এক সপ্তাহে অবৈধ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রাণ গেছে দুইজনের।
পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানাগেছে, একজন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাইলে প্রথমে তাকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার পর ওয়ারিং পরিদর্শক গ্রহকের ওয়ারিং দেখে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর সীলসহ একটি মিটার বরাদ্দ হয় গ্রাহকের জন্য। যেটা অফিসের কর্মরত লাইনম্যান নিজে গিয়ে সংযোগ দেয়ার কথা। কিন্ত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে লাইনম্যানের পরিবর্তে সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ইলেক্ট্রিশিয়ান বিদ্যুতের খুটিতে চড়ে সংযোগ দিচ্ছেন এবং মিটারে বিদ্যুতের সংযোগ শেষে সীল লাগিয়ে দিচ্ছে। এতে করে গত এক সপ্তাহে অবৈধ বিদ্যুৎ পৃষ্টে নিজদর্পা এবং উত্তর রাজিব গ্রামে দুই ব্যক্তি মারা গেলেও কাউনিয়া বিদ্যুৎ অফিসে নেই এর কোন তথ্য।
ইলেক্ট্রেশিয়ান দ্বারা বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা স্বীকার করে কাউনিয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম নিশিথ কুমার কর্মকার বলেন, কাউনিয়া উপজেলার ৮০২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনে প্রায় ২৩হাজার বাণিজ্যিক, ১৪শ সেচ এবং আবাসিক সহ প্রায় ৩৮ হাজার গ্রাহকের সেবা দিতে লাইনম্যান প্রয়োজন ১৭জন। এর বিপরীতে এই কাউনিয়া জোনাল অফিসে লাইনম্যান আছে ১০জন। বিলিং রিডার স্বল্পতার কারণে একজনকে দিয়ে চারজনের কাজ করা লাগছে। যার ফলে আমরা সেই ভাবে সেবা দিতে পারিনা। তিনি বলেন, লোকবল সংকটের কথা উর্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে জনগনকে সচেতন করার জন্য এই সপ্তাহ থেকে মাইংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।