শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক :
ময়মনসিংহের শিলাঙ্গন হাসপাতালে পুত্র সন্তান জন্মের ৩৯ দিন পরেই কন্যা শিশু জন্ম দিয়ে আলোচনায় এসেছে এক নারী। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে এক বিরল ঘটনা।
জানা যায়, গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ার বর্মী এলাকার আমিনুল ইসলাম ও রিতা আক্তার দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে নিঃসন্তান। একটি সন্তান লাভের আশায় তারা সাড়ে তিন বছর ময়মনসিংহে প্রফেসর ডা. শিলা সেন এর চিকিৎসা গ্রহণ করেন। অবশেষে চিকিৎসা গ্রহণের পর রীতা গর্ভবতী হন।
আল্ট্রসনোগ্রাম রির্পোটে রীতার গর্ভে দুটি সন্তানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর গত ১৩ মে হঠাৎ করে রীতার পেটব্যথা শুরু হলে তাৎক্ষণিক তিনি শিলা সেনের সাথে যোগাযোগ করেন। রীতাকে চেম্বারে আসতে বলেন ডা. শিলা। রীতা আসার পর কালবিলম্ব না করে তাকে তাৎক্ষণিক শিলাঙ্গন হাসপাতালে ভর্তি করে লেবার ওটিতে পাঠানো হয়।
প্রফেসর ডা. শিলা সেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রীতা একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। বাচ্চার ওজন কম থাকায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর সে সুস্থ হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, রীতার গর্ভের দ্বিতীয় বাচ্চাটি রীতার গর্ভেই থেকে যায়। রীতাও শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করতে থাকলে ৭২ ঘণ্টা পর শিলা সেন পরবর্তী চিকিৎসার জন্য রীতাকে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও রীতা সার্বক্ষণিক শিলা সেনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। অতঃপর গত ২৩ জুন রীতার গর্ভস্থ দ্বিতীয় পুত্র সন্তানটি প্রসব করেন।
প্রথম সন্তান প্রসবের এক মাস দশ দিনের মাথায় দ্বিতীয় সন্তান প্রসব চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিরল ঘটনা। সাধারণত যমজ সন্তান যখন হয়, তখন কয়েক মিনিট বা এক থেকে দুই ঘণ্টার ব্যবধান থাকে। বর্তমানে দুই সন্তান ও তার মা সুস্থ আছেন।
শিলাঙ্গন হাসপাতালের প্রনব সেন জানান, হাসপাতালটি জনসেবায় ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য কুঁড়িয়ে এনেছে। ডা. শিলা সেন একজন সিনিয়র গাইনি বিশেষজ্ঞ সার্জন হিসেবে নির্ভীকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সেবার কারণে হাসপাতালটি সুপরিচিত লাভ করে সুনাম অর্জন করেছে। এ যাবৎকাল পর্যন্ত ১০ হাজারের অধিক নিসন্তান দম্পতি ডা. শিলা সেনের কাছে চিকিৎসা নিয়ে সন্তানের পিতা-মাতা হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই হাসপাতালেই ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর এক নারী ৩ সন্তান প্রসব করেছিল।