শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
মো.তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। আর বাঁশের তৈরী বিভিন্ন উপকরণ কাজে লাগত সব সময়। এলাকার কৃষকরা বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিসিপত্র কৃষিক্ষেত্রে ছাড়াও দৈনিক সংসারিক কাজে ব্যবহার করতো। সে সময় কৃষক ও কৃষির মওসুম ভেদে এ শিল্পে নিয়োজিতরা সময়োপযোগী বিভিন্ন হাতের কাজ করে ব্যস্ত সময় পার করতো। তাদের দম ফেলার ফুরসত থাকতো না। এলাকার কৃষকেরা কৃষিকাজ ও সংসারিক দরকারি জিনিসপত্র তৈরি কওে নিতে কয়েকদিন আগ থেকে বাঁশশিল্পের কারিগরদের কাছে ভিড় জমাতো। নিত্যপ্রয়োজনীয় ডালি, কুলা, চালুন, চারাইয়া, ধামা, মাছধরা খোলোই, ডারকিসহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে নিতো। আর কারিগররা দিনরাত ক্রেতাদের চাহিদা পুরন করার জন্য কাজ করে যেত। এতে করে পরিশ্রম অনুযায়ী মুনাফাও ভালো পেত। সময়ের পরিবর্তনে এ শিল্পের কদর আর আগের মতো নেই। বর্তমানে দেশ উন্নয়নের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির প্লাস্টিক পণ্য ব্যাপক হারে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এখন বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার কমে গেছে। বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা না থাকায় এবং বেশি দামে বাঁশ ক্রয় করে কম দামে পণ্য বিক্রি করায় মানবেতর জীবন যাপন করছে বাঁশ শিল্পে নিয়োজিত কয়েকশত মানুষ। উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাটে দানিয়াল মৃধা। তিনি ওয়েট্রাস্ট চার্চে চাকুরির পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন বাঁশের কুটিরশিল্প। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন বিক্রেতা এসব পণ্য বিক্রি করছে। তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, একটা সময় আমরা এসব পণ্যের চাহিদা মেটাতে পারতাম না। আমরা বিভিন্ন মৌসুমের আগে মজুদ করে রাখতাম। এখন আর আগের মত চাহিদা নেই, সবাই কম দামে প্লাষ্টিক ও লোহার পণ্য ব্যবহার করে আসছে। এলাকার অনেক সচেতন ব্যাক্তি মনে করেন এ বাঁশ শিল্প টিকিয়ে রাখা দরকার। কারণ প্লাষ্টিক পণ্য পরিবেশের হুমকি স্বরূপ।