বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডোমারে পাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের ছাদে ফুলের সমারোহ। ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের পাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সৌন্দর্যের কারনে প্রশংসিত। বিদ্যালয় ভবনের ছাদে উঠলে মন কাড়ে সকলের। এই সৌন্দর্র্য তুলে ধরেছে বাহারী সব ফুল। ফাল্গুনের এই দিন গুলিতে বিদ্যালয় ভবনে ভাসতে থাকে মোহনীয় সব ফুলের সৌরভ। প্রায় ৩ বছর ধরে বসন্ত ঋতুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ আসেন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এছাড়াও ক্লাশ বিরতিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজেকে প্রাণবন্ত করতে বিদ্যালয় ভবনের ছাদে ফুলের স্পর্শে নিজস্ব ভঙ্গিমায় ছবি ও সেলফি তুলে সময় কাটাতেন। ভবনের ছাদে ফুলের এই সমারোহের পিছনে রয়েছে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি)সুকুমার রায়। তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে এ বাগান তৈরী করেন। তার সৃজনশীল উদ্যোগের প্রশংসা করেন অনেকেই। ফুলের পাশা পাশি নানা জাতের ফল,সবজি, ও ঔষুধী গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে কৃষি শিক্ষক সুকুমার রায় জানান আমি ২০০০ইং সালে পাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করি ,তখন থেকে আমি বাগান করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।২০১৭ সালে স্কুলে শিক্ষা প্রকৌশলীর আওতায় একাডেমি ভবন নির্মান হয়।তখন থেকে আমি একাডেমি ভবনের ছাঁদে টবের মধ্যে বিভিন্ন জাতের ফুল,ফল ও ঔষুধী গাছ লাগিয়ে আসছি। ফুলের মধ্যে রয়েছে গোলাপ,কছমছ, চন্দ্র মল্লিকা, বেলী, এ্যালমুন্ডা,ডালিয়াসহ অনেক বাহারী রঙ্গের ফুল।ফলের মধ্যে রয়েছে আম,পেঁপে,পেয়ারা,মালটা,আঙ্গুর, লেবু,বেল ইত্যাদি। ঔষুধী গাছের মধ্যে রয়েছে এ্যালোভেরা, পাথরকুচি,তুলসি,আকন্দ,পুদিনা ও থানকুনি, এছাড়া লালশাক,পালংশাক,ধুনিয়াপাতা, বেগুন,ওলকপি,পিয়াজ,মরিচ, লাউ,ভারতীয় কোয়াস,টমেটো উল্লেখ যোগ্য। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরনী কান্ত রায় বলেন, সহকারী শিক্ষক (কৃষি)সুকুমার রায়ের উদ্দ্যেগে প্রতিষ্ঠানের ছাদ বাগানটি করা হয়েছে, আমরা শিক্ষকরাও সেখানে অবসর সময় কাটাই।