যশোর জেলা প্রতিনিধি
শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে গর্ভবতী মা ও মেয়ের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে শার্শা থানার পুলিশ। ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৮টার স্ত্রী জুলেকা তার ৬ বছরের কন্যা সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে নিজে ঘরের মধ্যে গলায় আড়ার সাথে শাড়ি পেছিয়ে ঝুলে আত্নহত্যা করেছে । নিহতরা হলো রামচন্দ্রপুর গ্রামের আল মামুনূর রহমান ওরফে খোকন এর স্ত্রী জুলেখা খাতুন(২৬)
রাম চন্দ্র পূর গ্রামে মেম্বার আলতাফ হোসেন জানান ,শনিবার সকালে খোকন এর মেয়ে পাশের গ্যাদোর দোকানে গেলে গ্যাদোর মেয়ে জুলি তার গলায় স্বর্ণের চেইন নিজের বলে ছিনিয়ে নেয়। এতে মেয়েটি বাড়ি এসে তার মাকে বললে তার মা বিষয়টি নিয়ে গ্যাদোদের কাছে গেলে তাদের কে মিথ্যা চুরির অপবাধ দিলে মান অপমানে পরে দিন সকালে নিজের ঘরের মধ্যে নিজ হাতে মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে এবং নিজে গলায় শাড়ি দিয়ে অত্নহত্যা করেছে ।

নিহতের স্বামী বলেন , প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকালেও সে নিজের হাতে আমাকে খেতে দেয়।খাওয়ার পর কাজে গেলে বাড়ির লোক জনের মাধ্যেমে খবর পাই, খবর পেয়ে এসে দেখি মেয়ের মা ও মেয়ের মৃত দেহ পড়ে আছে। কেন এ কাজ করলো সে আমি কখন ভাবতে পারি এমন ঘটনা ঘটাবে।
সীমা খাতুন জানান,সকালে আমার ভাবি সবার সাথে দেখা করে, আমার ভাইয়ের কাজে যাওয়ার গোজগাজ করে দেলে কাজে চলে যায়। কিছু পরে ভাবিকে ডাকতে থাকলে কোন সাড়া পাই না। এসে দেখি ঘরের দরজা ভেতর থেকে দেয়া পাশের জানলা দিয়ে দেখতে পায় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। পরিবারের লোক জন এসে দরজা ভেঙ্গে দেখি পাশে মেয়েটার ও মৃত দেহ পড়ে আছে।
শার্শা থানার পুলিশ ,ঘটোনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে পোষ্ট মডাম রিপোটের জন্য যশোর ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআতাউর জানান এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩জন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।।