শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক :
বিয়ে বাড়ির সব আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। উভয় পক্ষের খাওয়া-দাওয়াও শেষ। এবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পালা। সেই মুহূর্তে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে হাজির হলেন নাটোরর গুরুদাসপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।
প্রশাসনের গাড়ি দেখে মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল বিয়ের কনে। যে মাওলানা বিয়ে পড়াবেন তিনিও দিলেন দৌড়। এরপর কনের জায়গায় কনের ভাবিকে বসিয়ে শুরু হয় নাটক। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ধরা পড়ে যায় কনেপক্ষ। কনের ভাবি ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৬) বিয়ে দিচ্ছিল তার পরিবার। খবরটি ফোনে জানতে পারেন ইউএনও তমাল হোসেন। এরপর তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানকে ওই বাড়িতে পাঠান। তিনি গিয়ে স্টেজে কনে সেজে বসে থাকা কনের ভাবি ও তার ভাইকে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরে বাল্যবিয়ের চেষ্টার জন্য কনের ভাইকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীকে বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।
গুরুদাসপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসন সোচ্চার রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।